রাষ্ট্রচিন্তার বিকাশে অ্যারিস্টটলের অবদান
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে রাষ্ট্রচিন্তার বিকাশে অ্যারিস্টটলের অবদান নিয়ে আলোচনা করব।
রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে গ্রিক রাষ্ট্রদার্শনিক অ্যারিস্টটল বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী অবদান রেখে গেছেন। রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কিত তাঁর চিন্তা ও মতামত নানাভাবে সমালোচিত হলেও যে বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি রাজনীতিকে বিচারবিশ্লেষণ করেছেন, তা এককথায় সত্যিই অভিনব।
সমকালীন গ্রিক নগররাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রদর্শন গড়ে উঠলেও তা ছিল সর্বকালীন ও শাশ্বত। বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে নগর ও নাগরিক, ব্যক্তি, পরিবার, শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলিকে তিনি বিচারবিশ্লেষণ করে নিজ সিদ্ধান্তকে উপস্থাপিত করেছেন- যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এই বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তাবিদই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বিষয় হিসেবে প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এমনকি রাজনৈতিক বিষয়গুলি অনুশীলনের ক্ষেত্রে তিনিই সর্বপ্রথম বাস্তববাদী ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। সক্রেটিসের মতোই অ্যারিস্টটলও এক কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গি ও জিজ্ঞাসু মন নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিচারবিবেচনা করেছেন। আরোহী পদ্ধতির তিনটি পর্যায় অর্থাৎ অনুমান, পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত অ্যারিস্টটলের গবেষণায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। তাছাড়া তাঁর সকল সিদ্ধান্তগুলিই ছিল পরীক্ষামূলক।
অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও প্রকৃতি, সরকারের বিভিন্ন রূপ, ন্যায়বিচার, পরিবার ও সম্পত্তি-সহ যে নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা রাষ্ট্রচিন্তার পরবর্তী ধারাকে যথেষ্ট পুষ্ট করেছে। রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কীভাবে শক্তিশালী ও সফল হতে পারে, নাগরিকদের সুখ ও সুযোগসুবিধা কীভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব এবং নগর পরিকল্পনার সার্থক রূপদান বিষয়ক অ্যারিস্টটলের প্রস্তাবগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
The Politics গ্রন্থে অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রদর্শনের যেসকল বিষয়গুলির অবতারণা করেছেন আধুনিক কালে রাজনীতির ছাত্র ও গবেষকমহলে তা যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। রাষ্ট্রনীতির মূলসূত্রগুলির অনুসন্ধান ও রাজনৈতিক সমস্যাবলির সমাধানের জন্য এই গ্রন্থটি পাঠ করা একান্ত প্রয়োজন। অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রদর্শন বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।
সমকালীন গ্রিক নগররাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রদর্শন গড়ে উঠলেও তা ছিল সর্বকালীন ও শাশ্বত। বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে নগর ও নাগরিক, ব্যক্তি, পরিবার, শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলিকে তিনি বিচারবিশ্লেষণ করে নিজ সিদ্ধান্তকে উপস্থাপিত করেছেন- যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এই বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তাবিদই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বিষয় হিসেবে প্রথম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এমনকি রাজনৈতিক বিষয়গুলি অনুশীলনের ক্ষেত্রে তিনিই সর্বপ্রথম বাস্তববাদী ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। সক্রেটিসের মতোই অ্যারিস্টটলও এক কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গি ও জিজ্ঞাসু মন নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিচারবিবেচনা করেছেন। আরোহী পদ্ধতির তিনটি পর্যায় অর্থাৎ অনুমান, পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত অ্যারিস্টটলের গবেষণায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। তাছাড়া তাঁর সকল সিদ্ধান্তগুলিই ছিল পরীক্ষামূলক।
অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও প্রকৃতি, সরকারের বিভিন্ন রূপ, ন্যায়বিচার, পরিবার ও সম্পত্তি-সহ যে নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা রাষ্ট্রচিন্তার পরবর্তী ধারাকে যথেষ্ট পুষ্ট করেছে। রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কীভাবে শক্তিশালী ও সফল হতে পারে, নাগরিকদের সুখ ও সুযোগসুবিধা কীভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব এবং নগর পরিকল্পনার সার্থক রূপদান বিষয়ক অ্যারিস্টটলের প্রস্তাবগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
The Politics গ্রন্থে অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রদর্শনের যেসকল বিষয়গুলির অবতারণা করেছেন আধুনিক কালে রাজনীতির ছাত্র ও গবেষকমহলে তা যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। রাষ্ট্রনীতির মূলসূত্রগুলির অনুসন্ধান ও রাজনৈতিক সমস্যাবলির সমাধানের জন্য এই গ্রন্থটি পাঠ করা একান্ত প্রয়োজন। অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রদর্শন বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।
সরকারের শ্রেণিবিভাজন সম্পর্কে বোদা, মন্তেস্কুর ধারণা মূলত অ্যারিস্টটলের অনুসরণেই গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া বিশিষ্ট আইনবিদ ডাইসি (A V Dicey) তাঁর Rule of Law বা আইনের অনুশাসন তত্ত্বের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি ম্যাকিয়াভেলি, হবস থেকে শুরু করে হেগেল, কার্ল মার্কসের মতো বিশিষ্ট দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের উপর অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রদর্শন ও যুক্তিবাদী ভাবনার বিশেষ প্রভাব পড়তে দেখা যায়।
সামগ্রিকভাবে আলোচনার শেষে একথা বলাই যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলের বাস্তবধর্মিতা ও বিজ্ঞানসম্মত রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রচিন্তার জগতে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাই যথার্থই আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার কাণ্ডারি রূপে অ্যারিস্টটলকে অভিহিত করা যেতে পারে।
সামগ্রিকভাবে আলোচনার শেষে একথা বলাই যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক অ্যারিস্টটলের বাস্তবধর্মিতা ও বিজ্ঞানসম্মত রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রচিন্তার জগতে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাই যথার্থই আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার কাণ্ডারি রূপে অ্যারিস্টটলকে অভিহিত করা যেতে পারে।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। রাষ্ট্রচিন্তার বিকাশে অ্যারিস্টটলের অবদান এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url