তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে নিরঞ্জন চরিত্রের স্বরূপ বিচার করো

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে নিরঞ্জন চরিত্রের স্বরূপ বিচার করো নিয়ে আলোচনা করব।

 -
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে নিরঞ্জন চরিত্রের স্বরূপ বিচার করো
নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্র তাঁর 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পে যামিনীর বাগদত্ত হিসেবে নিরঞ্জন চরিত্রের উপস্থাপন করেছেন। যামিনীর মায়ের দূরসম্পর্কের বোনপো নিরঞ্জন, যে বছর চারেক আগে বিদেশের চাকরি থেকে ফিরে এসে বৃদ্ধার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিল। 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পে নিরঞ্জনের কোনো প্রত্যক্ষ উপস্থিতি নেই। রাত্রে আহারের পর যামিনীর সঙ্গে মণিদার কথাবার্তার সূত্রে কথক নিরঞ্জনের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়।

কীরূপ পরিস্থিতিতে নিরঞ্জন যামিনীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল-তা পরিষ্কার নয়। গল্পকার যামিনীর সঙ্গে নিরঞ্জনের প্রেমপর্বের সূচনা হিসেবেও তেমন কিছু তুলে ধরেননি। সমাজের যে-কোনো স্তরেই যে-কোনো ব্যক্তিই নিরঞ্জনের রীতিতে অভ্যস্ত। সমাজের চাপে পড়ে, কিংবা স্বেচ্ছায় সাময়িকভাবে কথা দেয় অনেকেই।
 
কিন্তু কথা দিয়ে আশার সঞ্চার করে আর কেউ কথা রাখে না। অনেকেই স্বার্থপর হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গক্রমে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কেউ কথা রাখেনি'-কবিতার বোষ্টমীর কথা স্মরণে আসে। নিরঞ্জন ঘুঁটে কুড়ুনির মেয়েকে বিয়ে করে জীবনের মহান ব্রতে শহীদ হতে চায়নি। সে অন্যত্র সংসারজীবনে ব্যস্ত। প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রেমকে সৌন্দর্যের আরতি হিসেবে নয়-ভোগের আরতি হিসেবে দেখিয়েছেন।
 

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে নিরঞ্জন চরিত্রের স্বরূপ বিচার করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Next Post Previous Post
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url