'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'-গল্প অবলম্বনে যামিনী চরিত্রটি আলোচনা করো
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'-গল্প অবলম্বনে যামিনী চরিত্রটি আলোচনা করো নিয়ে আলোচনা করব।
'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'-গল্প অবলম্বনে যামিনী চরিত্রটি আলোচনা করো
চরিত্রসৃষ্টিতে প্রেমেন্দ্র মিত্র তাঁর 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পের যামিনী চরিত্রটির ক্ষেত্রে অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। যামিনী চরিত্রটিকে গল্পে নানাভাবে ও নানারূপে উপস্থাপিত করা হয়েছে। গল্পের সূচনায় রহস্যময়তাকে একটু রোমান্টিক করে তোলা হয়েছে। নিঃসঙ্গ যামিনীর ছবি এসে সেই রহস্যময়তায় এনে দিয়েছে একটু সৌন্দর্যের স্পর্শ-"গভীর নিশীথ রাত্রে কে যে এই বাতায়নবর্তিনী, কেন যে তার চোখে ঘুম নেই.....।"
পরক্ষণেই রোমান্টিকতাকে ভেঙে দিয়ে যামিনীকে নিয়ে আসা হয়েছে বাস্তবের রূঢ় মাটিতে। প্রভাতের আলোয় দেখা যায়, মেয়েটি অপার্থিব কেউ নয়, অস্বচ্ছল সংসারের শ্রীহীন একটি মেয়ে, যার ক্ষীণ, দীর্ঘ, অপুষ্ট শরীর দেখলে মনে হবে- "কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়া তার যেন স্থগিত হয়ে আছে।...."
যামিনীর প্রথম আবির্ভাব শান্ত, সংযত কিন্তু আড়ষ্টতাহীন। মাছ ধরার সময় অন্যমনস্ক গল্পকথককে সে ছিপে টান দেওয়ার কথা বলে। গ্রামবাংলার পুরাতান্ত্রিক সমাজে যামিনীর এই আচরণ ব্যতিক্রমী। ব্যক্তিত্ব থাকলেও যামিনীর রসবোধ আছে। অপরিচিত গল্পকথকের মাছ ধরার ব্যর্থতায় সে তার মণিদার কাছে এই নিয়ে রসিকতাও করেছে। অসীম দারিদ্র্য, অসুস্থ মায়ের জন্য চিন্তা এবং জীবনে এক গোপন আঘাত-যামিনীকে এরূপ কঠিন ও কঠোর করে তুলেছে।
পরক্ষণেই রোমান্টিকতাকে ভেঙে দিয়ে যামিনীকে নিয়ে আসা হয়েছে বাস্তবের রূঢ় মাটিতে। প্রভাতের আলোয় দেখা যায়, মেয়েটি অপার্থিব কেউ নয়, অস্বচ্ছল সংসারের শ্রীহীন একটি মেয়ে, যার ক্ষীণ, দীর্ঘ, অপুষ্ট শরীর দেখলে মনে হবে- "কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়া তার যেন স্থগিত হয়ে আছে।...."
যামিনীর প্রথম আবির্ভাব শান্ত, সংযত কিন্তু আড়ষ্টতাহীন। মাছ ধরার সময় অন্যমনস্ক গল্পকথককে সে ছিপে টান দেওয়ার কথা বলে। গ্রামবাংলার পুরাতান্ত্রিক সমাজে যামিনীর এই আচরণ ব্যতিক্রমী। ব্যক্তিত্ব থাকলেও যামিনীর রসবোধ আছে। অপরিচিত গল্পকথকের মাছ ধরার ব্যর্থতায় সে তার মণিদার কাছে এই নিয়ে রসিকতাও করেছে। অসীম দারিদ্র্য, অসুস্থ মায়ের জন্য চিন্তা এবং জীবনে এক গোপন আঘাত-যামিনীকে এরূপ কঠিন ও কঠোর করে তুলেছে।
বৃদ্ধার দূরসম্পর্কের বোনপো নিরঞ্জন যামিনীকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে প্রবঞ্চনা করে। নিরঞ্জন অন্যত্র বিবাহ করলেও তা অজ্ঞাত থাকায় বৃদ্ধা ভাবে নিরঞ্জন ফিরে আসবে। কিন্তু গল্পের নায়ক যখন যামিনীর মায়ের কাছে নিরঞ্জন পরিচয় দিয়ে যামিনীকে বিবাহ করার আশ্বাস দেয়-“তখন তার চোখের ভেতর থাকে মধুর একটি সকৃতজ্ঞ হাসি।” যা নিতান্ত অপরিচিত গল্পকথকের প্রতি যামিনীর বিশ্বাসকেই প্রমাণ করে।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার'-গল্প অবলম্বনে যামিনী চরিত্রটি আলোচনা করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url