মহানগরীর থেকে ত্রিশ মাইল দূরে ব্যাঘ্রসংকুল এরকম স্থানের অস্তিত্ব কী করে সম্ভব
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মহানগরীর থেকে ত্রিশ মাইল দূরে ব্যাঘ্রসংকুল এরকম স্থানের অস্তিত্ব কী করে সম্ভব নিয়ে আলোচনা করব।
"মহানগরীর থেকে ত্রিশ মাইল দূরে ব্যাঘ্রসংকুল এরকম স্থানের অস্তিত্ব কী করে সম্ভব...."-প্রসঙ্গসহ মন্তব্যটির যৌক্তিকতা দেখাও
প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পে গল্পের নায়ক তার দুই বন্ধুসহ কলকাতা নগরী থেকে তেলেনাপোতা গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল; তখনই এক বিচিত্র অভিজ্ঞতাসূত্রে এরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।
গল্পটি শুরু হয়েছে বিকেলবেলার পড়ন্ত রোদে এবং একটু একটু করে অন্ধকারময়তার দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে জগতের দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে পরিবেশটাই প্রধান যেন, অথচ জায়গাটি শহর থেকে মাত্র তিরিশ মাইল দূরে।
গল্পটি শুরু হয়েছে বিকেলবেলার পড়ন্ত রোদে এবং একটু একটু করে অন্ধকারময়তার দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে জগতের দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে পরিবেশটাই প্রধান যেন, অথচ জায়গাটি শহর থেকে মাত্র তিরিশ মাইল দূরে।
নায়ক-সহ দুই বন্ধু কলকাতা থেকে বাসযোগে তেলেনাপোতা গ্রামের কাছাকাছি একটি জঙ্গলপূর্ণ এলাকায় সন্ধ্যার সময় নামেন। বাসটি তাঁদের নামিয়ে একটি সাঁকো পেরিয়ে চলে যায়। এই জঙ্গলময় জনমানবহীন দেশে ঘন অন্ধকারের মধ্যে কীভাবে তাঁরা যাবেন-এই ভাবনায় যখন তাঁরা কোনো ফিরতি বাসে কলকাতা
ফেরার কথা ভাবছেন, তখনই নালার পাশের জঙ্গল থেকে একটি গোরুর গাড়ি তীব্র আর্তনাদ করতে করতে বেরিয়ে আসে। সেই গোরুর গাড়িতে চেপে অন্ধকার কুয়াশাময় জগতের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে তাঁরা গাড়োয়ানের ক্যানেস্তারা বাজানোর শব্দে সচকিত হয়ে ওঠেন। ক্যানেস্তারা বাজানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে গাড়োয়ান জানায় চিতাবাঘ তাড়ানোর জন্য সে ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে।
ফেরার কথা ভাবছেন, তখনই নালার পাশের জঙ্গল থেকে একটি গোরুর গাড়ি তীব্র আর্তনাদ করতে করতে বেরিয়ে আসে। সেই গোরুর গাড়িতে চেপে অন্ধকার কুয়াশাময় জগতের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে তাঁরা গাড়োয়ানের ক্যানেস্তারা বাজানোর শব্দে সচকিত হয়ে ওঠেন। ক্যানেস্তারা বাজানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে গাড়োয়ান জানায় চিতাবাঘ তাড়ানোর জন্য সে ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে।
মহানগরী থেকে ত্রিশ মাইল দূরে চিতাবাঘের থাকার কথা শুনে তিন বন্ধুর মনে এরূপ ভাবনার উদয় হয়েছিল। কলকাতা থেকে এই দূরত্বের মধ্যে কোনো জায়গায় বাঘ থাকতে পারে-এটি ভাবা কলকাতাবাসীর পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশ এমনই বৈচিত্র্য ও বৈষম্যে ভরা। একদিকে নাগরিক সভ্যতা-আর কিছু দূরেই বেহাল-ভগ্নদশার গ্রাম্যজীবন। একদিকে স্বাচ্ছন্দ্য, অন্যদিকে প্রতিকূলতা-বাংলাদেশের বাস্তবতার আর এক চিত্র।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। মহানগরীর থেকে ত্রিশ মাইল দূরে ব্যাঘ্রসংকুল এরকম স্থানের অস্তিত্ব কী করে সম্ভব এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url