তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে যামিনীর মায়ের চরিত্র আলোচনা করো

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে যামিনীর মায়ের চরিত্র আলোচনা করো নিয়ে আলোচনা করব।

 
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে যামিনীর মায়ের চরিত্র আলোচনা করো

তেলেনাপোতা গ্রামের যামিনীর মায়ের চরিত্রটির মধ্য দিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্র তাঁর 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পে গ্রাম বাংলার চিরন্তন মায়ের রূপটিকেই ফুটিয়ে তুলেছেন। যামিনীর মাকে বাংলার পল্লির কন্যাদায়গ্রস্ত আর পাঁচটি মায়ের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা যায়। অসহায় বিধবার অরক্ষণীয়া কন্যাকে নিয়ে যে আকুলতা তা অত্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে কঙ্কালসার বৃদ্ধার চরিত্রে।

মৃত্যুপথযাত্রী এই বৃদ্ধার একমাত্র ভাবনা-কন্যার ভবিষ্যৎ। কন্যার প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসাই তাঁকে যেন মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দূরসম্পর্কের এক বোনপো নিরঞ্জনের সঙ্গে কন্যার বিবাহ ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু নিরঞ্জন কথা দিয়েও কথা না রেখে অন্যত্র বিবাহ করেছে। এ খবর বৃদ্ধার অজানাই থেকে গেছে। তাই আত্মীয় মণি ও তার দুই বন্ধু তেলেনাপোতা পৌঁছালে অন্ধ বৃদ্ধা ভাবেন নিরঞ্জন বুঝি ফিরে এসেছে তার প্রতিশ্রুতি পালন করতে।
 
তাই তিনি উদ্বেগ হয়ে উঠেছেন। নায়ক যে নিরঞ্জন নয়, এ কথা জানতে পারলে তার মৃত্যু অনিবার্য জেনে উত্তেজিত হয়ে ওঠে যামিনী। কিন্তু সবাইকে হতচকিত করে গল্পের নায়ক হঠাৎ বৃদ্ধাকে জানায় যে যামিনীকে সে বিবাহ করবে। প্রাণ পেয়ে বৃদ্ধা বলে ওঠেন- "যামিনীকে নিয়ে তুই সুখী হবি বাবা। ...যামিনীকে তুই নিবি তো....?"

বৃদ্ধার শেষ মুহূর্তের অসম্ভব আর্তিতে ওই 'শ্মশানের দেশ'-এ যেন এক জীবন্ত মায়ের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
 

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প অবলম্বনে যামিনীর মায়ের চরিত্র আলোচনা করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Next Post Previous Post
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url