নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা করো
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা করো নিয়ে আলোচনা করব।
নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে পার্থক্যসমূহ
সাধারণত, একটি দেশের জনগণকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়, যথা-[1] নাগরিক এবং [2] বিদেশি। নাগরিক বলতে তাকেই বোঝায় যে রাষ্ট্রে বসবাস করে এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের প্রতি যে স্বাভাবিক আনুগত্য প্রদর্শন করে এবং রাষ্ট্র তাকে ব্যক্তিত্ববিকাশের উপযোগী সমস্ত অধিকার প্রদান করে।একইভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও তার সার্বিক শিক্ষা, বুদ্ধিবিবেচনা, সক্রিয় সচেতনতা প্রভৃতি দিয়ে সামাজিক মঙ্গলসাধনের কাজ করে। অপরদিকে যখন কোনো ব্যক্তি তার নিজ দেশ ছেড়ে কোনো কাজে বা অন্য কোনো ব্যাপারে অপর কোনো রাষ্ট্রে সাময়িককালের জন্য বসবাস করে এবং এই বসবাসের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশটির অনুমতি নেয় তখন তাকে বলে বিদেশি।
নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে যে পার্থক্যগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল-
[1] স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা: একটি রাষ্ট্রের নাগরিকরা হল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। অপরদিকে, অন্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক যখন সাময়িককালের জন্য কোনো একটি দেশে, কোনো কাজ বা অন্য কোনো কারণে বসবাস করে তখন তাকে বলা হয় বিদেশি। বিদেশি তার কাজের শেষে নিজের দেশ ফিরে যায়।
[2] অধিকার ভোগ: কোনো একটি দেশের নাগরিক সংশ্লিষ্ট দেশের পৌর, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ ভোগ করে। বিদেশিরা এইসব অধিকার ভোগ করতে পারে না। বিশেষ করে কোনো বিদেশিকে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে দেওয়া হয় না। কোনো একটি দেশে নির্বাচনের সময় সেই দেশে বসবাসরত বিদেশিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না এবং ভোটদান করতেও পারে না।
[3] আনুগত্য প্রদর্শন: নাগরিকদের নিজ দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে হয়। নাগরিক তার নিজ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি সেই দেশে বসবাসকারী বিদেশির কোনোরূপ আনুগত্য থাকে না। বিদেশিরা আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য থাকে না।
[4] কর্তব্য ও আনুগত্য: নাগরিকরা তার নিজ দেশের প্রতি সর্বদা কর্তব্য ও আনুগত্য জানায়। যেমন- প্রয়োজন হলে রাষ্ট্র নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য ঘোষণা করতে পারে। অপরদিকে বিদেশিরা সেই রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য ও আনুগতা জানাতে বাধ্য নয়, অথবা বলা যায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি প্রয়োজন মনে করলে কোনো বিদেশিকে নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদানের কথা বলতে পারে না।
[5] চরম শান্তি: নাগরিক যদি কোনো গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে রাষ্ট্র তাকে চরম শাস্তি দিতে পারে, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিতে পারে। কিন্তু কোনো বিদেশি যদি একই ধরনের অপরাধ করে তাহলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি ওই বিদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে না।
[6] বহিষ্কার: কোনো বিদেশির অসদাচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি তাকে বহিষ্কার করে দিতে পারে। কিন্তু কোনো নাগরিক যদি এরূপ কোনো কাজ করে তাহলে রাষ্ট্র তাকে বহিষ্কার করে দেয় না।
পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে পারে সে তার নিজের দেশে থাকুক বা বিদেশে থাকুক। কিন্তু বিদেশির ক্ষেত্রে তা ঘটে না
নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে যে পার্থক্যগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল-
[1] স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা: একটি রাষ্ট্রের নাগরিকরা হল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। অপরদিকে, অন্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক যখন সাময়িককালের জন্য কোনো একটি দেশে, কোনো কাজ বা অন্য কোনো কারণে বসবাস করে তখন তাকে বলা হয় বিদেশি। বিদেশি তার কাজের শেষে নিজের দেশ ফিরে যায়।
[2] অধিকার ভোগ: কোনো একটি দেশের নাগরিক সংশ্লিষ্ট দেশের পৌর, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ ভোগ করে। বিদেশিরা এইসব অধিকার ভোগ করতে পারে না। বিশেষ করে কোনো বিদেশিকে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে দেওয়া হয় না। কোনো একটি দেশে নির্বাচনের সময় সেই দেশে বসবাসরত বিদেশিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না এবং ভোটদান করতেও পারে না।
[3] আনুগত্য প্রদর্শন: নাগরিকদের নিজ দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে হয়। নাগরিক তার নিজ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি সেই দেশে বসবাসকারী বিদেশির কোনোরূপ আনুগত্য থাকে না। বিদেশিরা আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য থাকে না।
[4] কর্তব্য ও আনুগত্য: নাগরিকরা তার নিজ দেশের প্রতি সর্বদা কর্তব্য ও আনুগত্য জানায়। যেমন- প্রয়োজন হলে রাষ্ট্র নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য ঘোষণা করতে পারে। অপরদিকে বিদেশিরা সেই রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য ও আনুগতা জানাতে বাধ্য নয়, অথবা বলা যায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি প্রয়োজন মনে করলে কোনো বিদেশিকে নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদানের কথা বলতে পারে না।
[5] চরম শান্তি: নাগরিক যদি কোনো গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে রাষ্ট্র তাকে চরম শাস্তি দিতে পারে, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিতে পারে। কিন্তু কোনো বিদেশি যদি একই ধরনের অপরাধ করে তাহলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি ওই বিদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে না।
[6] বহিষ্কার: কোনো বিদেশির অসদাচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি তাকে বহিষ্কার করে দিতে পারে। কিন্তু কোনো নাগরিক যদি এরূপ কোনো কাজ করে তাহলে রাষ্ট্র তাকে বহিষ্কার করে দেয় না।
পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে পারে সে তার নিজের দেশে থাকুক বা বিদেশে থাকুক। কিন্তু বিদেশির ক্ষেত্রে তা ঘটে না
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। নাগরিক ও বিদেশির মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url