কর্তৃত্বমূলক বা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কর্তৃত্বমূলক বা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো নিয়ে আলোচনা করব।
কর্তৃত্বমূলক স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা
উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপরীতে স্বৈরতান্ত্রিক তথা কর্তৃত্বমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অবস্থান। এরূপ শাসনব্যবস্থায় শাসক ও শাসিতের মধ্যে কোনোরূপ সুসম্পর্ক থাকে না। সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে শাসক স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা ভোগ করে। জনসম্মতির ওপর এই শাসনব্যবস্থা ভিত্তিশীল নয়।
এককথায় বলা যায়, জনগণের ইচ্ছাকে এরূপ বাবস্থায় কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। এইরূপ শাসনব্যবস্থায় বাক্তিস্বাধীনতা, স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ প্রভৃতি থাকে না। তা ছাড়া আইনের অনুশাসন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত, জনগণের কাছে সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রভৃতি এই শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বহীন বলে বিবেচিত হয়।
তা ছাড়া এরূপ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গণসংযোগের মাধ্যমগুলিকে কোনো স্বাতন্ত্র্য দেওয়া হয় না। কর্তৃত্বমূলক রাজনৈতিক বাবস্থার মূল লক্ষা হল কোনো একক বাস্তি বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ।
অ্যালান বল মনে করেন, কর্তৃত্বমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যেসব ক্ষমতার প্রয়োগ লক্ষ করা যায়, তা উদারনৈতিক গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রে দেখা যায় না। এইরূপ রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
প্রথমত, এইরূপ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি বা কিছুসংখ্যক বাক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে। দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আনুগত্য বা সম্মতি থাকে না বলে শাসকবর্গ বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনসম্মতি বা জনগণের আনুগত্য আদায় করে নেয়।
তৃতীয়ত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় কুমোচ্চ স্তর (hierarchical) অনুযায়ী কাঠামোটি সাজানো হয়। এই ব্যবস্থার শীর্ষে একজন বা কিছু শাসকের অবস্থান এবং অন্যান্যদের তাঁদের প্রতি আনুগত্যশীল থাকতে হয়।
চতুর্থত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় জনগণ কোনোরূপ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ভোগ করতে পারে না। কারণ এই ব্যবস্থায় শাসকবর্গ কর্তৃক রাজনৈতিক দলগঠন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা হয়।
পঞ্চমত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় একাধিক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া হয় না। এখানে একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে। এই দলের কাজ হল জনগণ যাতে নেতা বা সরকারের প্রতি আনুগত্য জ্ঞাপন করে তার ব্যবস্থা করা। এই ব্যবস্থায় সকল রকমের সরকার-বিরোধী কাজকর্মকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
ষষ্ঠত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। এই ব্যবস্থায় নাগরিক অধিকারকে সীমিত করে দেওয়া হয় এবং বিচারব্যবস্থার ওপর নানাপ্রকার বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়।
সপ্তমত, এইরূপ ব্যবস্থায় কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এখানে জাতিগত বিষয় ও জাতীয়তাবাদকে খানিকটা গুরুত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সংহতিকে ধরে রাখার জন্য।
অষ্টমত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় সামান্য সংখ্যক বাছাই করা লোকেদের (social elites) স্বার্থ রক্ষা করা হয়। এর ফলে এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
পরিশেষে, যেহেতু এই ব্যবস্থা শাসকের নির্দেশ অনুসারে পরিচালিত হয় সেহেতু সাধারণ মানুষের নৈতিক, বৌদ্ধিক ও চেতনা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এর ফলে তাদের কোনো উন্নতি ঘটে না।
প্রথমত, এইরূপ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি বা কিছুসংখ্যক বাক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে। দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আনুগত্য বা সম্মতি থাকে না বলে শাসকবর্গ বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনসম্মতি বা জনগণের আনুগত্য আদায় করে নেয়।
তৃতীয়ত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় কুমোচ্চ স্তর (hierarchical) অনুযায়ী কাঠামোটি সাজানো হয়। এই ব্যবস্থার শীর্ষে একজন বা কিছু শাসকের অবস্থান এবং অন্যান্যদের তাঁদের প্রতি আনুগত্যশীল থাকতে হয়।
চতুর্থত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় জনগণ কোনোরূপ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ভোগ করতে পারে না। কারণ এই ব্যবস্থায় শাসকবর্গ কর্তৃক রাজনৈতিক দলগঠন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা হয়।
পঞ্চমত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় একাধিক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া হয় না। এখানে একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে। এই দলের কাজ হল জনগণ যাতে নেতা বা সরকারের প্রতি আনুগত্য জ্ঞাপন করে তার ব্যবস্থা করা। এই ব্যবস্থায় সকল রকমের সরকার-বিরোধী কাজকর্মকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
ষষ্ঠত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। এই ব্যবস্থায় নাগরিক অধিকারকে সীমিত করে দেওয়া হয় এবং বিচারব্যবস্থার ওপর নানাপ্রকার বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়।
সপ্তমত, এইরূপ ব্যবস্থায় কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এখানে জাতিগত বিষয় ও জাতীয়তাবাদকে খানিকটা গুরুত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সংহতিকে ধরে রাখার জন্য।
অষ্টমত, কর্তৃত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় সামান্য সংখ্যক বাছাই করা লোকেদের (social elites) স্বার্থ রক্ষা করা হয়। এর ফলে এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
পরিশেষে, যেহেতু এই ব্যবস্থা শাসকের নির্দেশ অনুসারে পরিচালিত হয় সেহেতু সাধারণ মানুষের নৈতিক, বৌদ্ধিক ও চেতনা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এর ফলে তাদের কোনো উন্নতি ঘটে না।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। কর্তৃত্বমূলক বা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url