জনকল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জনকল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো নিয়ে আলোচনা করব।

জনকল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো

জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ

আধুনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যেই জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের উদ্ভব। এরূপ রাষ্ট্র ব্যক্তিকল্যাণের ক্ষেয়ে কতগুলি অধিকার প্রদানের সুপারিশ করে। হবহাউস এক্ষেত্রে কতগুলি মৌল অধিকার ও নীতির উল্লেখ করেন, যথা-পৌর ও সামাজিক স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বাধীনতা, অবাধ বাণিজ্যের অধিকার, পারিবারিক স্বাধীনতা প্রভৃতি। জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

সম্পত্তির অধিকার প্রদান

জনকল্যাণকর রাষ্ট্র বাক্তিগত সম্পত্তির অবলুপ্তির কথা বলে না, বরং তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধিকার বলে মনে করে। কিন্তু প্রয়োজনে ব্যক্তি বা সমষ্টির স্বার্থে রাষ্ট্র সেই অধিকারকে আবার নিয়ন্ত্রণও করতে পারে।

নাগরিক হিসেবে দাবি

জনকল্যাণকর রাষ্ট্রে নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে কল্যাণের বিষয়টি দাবি করে। এখানে ব্যক্তিকে রাষ্ট্র প্রজা হিসেবে নয়, নাগরিক হিসেবে দেখে থাকে। ব্যক্তি এই রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের একজন অংশীদার। এই কারণে সে রাষ্ট্রের কাছে সম্পদের পুনর্বণ্টনের দাবি করে থাকে।
 
রাষ্ট্র ব্যক্তি তথা নাগরিকের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের জন্য বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করে থাকে, নাগরিকদের বেকার অবস্থায় বেকারভাতা দান করে, অক্ষম ও পীড়িত ব্যক্তিদের জন্য নানা সুযোগসুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে।
 

মিশ্র অর্থনীতি

মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বর্তমান থাকে, তেমনই তার পাশাপাশি ব্যক্তিকেন্দ্রিক উদ্যোগও বর্তমান থাকে।
 
মূল শিল্পগুলিকে রাষ্ট্র তার নিজের অধীনে রাখে এবং অন্যান্য উদ্যোগের মালিকানা থাকে ব্যক্তির হাতে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র প্রয়োজন মনে করলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ব্যবস্থাগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

উপসংহার

জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব হল জনগণের কল্যাণ সাধন করা। কেবল নাগরিকের নিরাপত্তাবিধান বা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার জন্যই রাষ্ট্র সক্রিয় থাকে না, প্রয়োজনে ব্যক্তিক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বৃহত্তর জনকল্যাণের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকে।
 

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। জনকল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Next Post Previous Post
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url