জেন্ডার' সম্পর্কে একটি টীকা লেখো

জেন্ডার' সম্পর্কে একটি টীকা লেখো

জেন্ডার

'জেন্ডার' (Gneder) শব্দটির বাংলা অর্থ করা হয় 'লিজা'। যদিও 'লিঙ্গ' এবং জেন্ডারের মধ্যে প্রকৃতিগত যথেই পার্থক্য রয়েছে। কারণ 'জেন্ডার' শব্দটির ব্যাবহারিক তাৎপর্য ও 'স্লিল শব্দটির ব্যাবহারিক তাৎপর্য এক নয়।
 
'জেন্ডার' বলতে পৌরুষ বা নারীত্বের ধারণাকে বোঝালেও সমাজ ও কাল নির্বিশেষে এর কোনো একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড পাওয়া যায় না। মারিয়া মিস বলেছেন যে, 'পৌরুষ' বা 'নারীত্বের' ধারণাটির সংশ্লিষ্ট কোনো জৈবিক সতা নেই। তা হল দীর্ঘকাল ধরে আসা অর্থাৎ ইতিহাস ও সমাজডেনে একটি পরিবর্তনশীল বিষয়।
 
অর্থাৎ, 'জেন্ডার' বলতে কোনো একটি বিশেষ সমাজে পৌরুষসুলভ মনোভাব বা তার কোনোরূপ বিরোধী মনোভাবকেও বোঝায় না। 'জেন্ডার' এর মধ্যে নারী বা পুরুষের প্রাত্যহিক কাজকর্ম, তাদের সামাজিক বিরেপ- ক্ষেত্র, ব্যবহারজনিত প্রকারভেদ প্রভৃতি সংশ্লিষ্ট।

জৈবিক দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে স্পষ্ট ভেদ টানা সম্ভব হলেও এই বিভাজনের বাইরে 'নারীত্ব' ও 'পৌরুষ'-এর যে ধারখাটি গড়ে ওঠে তা একটি জটিল প্রকৃতি সৃষ্টি করে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নারী- পুরুষের যে বিভাজন বিদ্যমান তার মধ্য দিয়েই 'জেন্ডার'-এর চিন্তাভাবনা নির্মিত হয়।
 
এই কারণে নারীবাদীরা অনেক সময় নারীর ও পৌরুষের বিভাজনের জন্য 'লিঙ্গ' বা 'sex' শব্দটির পরিবর্তে 'gender' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ একে আবার 'সামাজিক লিঙ্গা' বলে উল্লেখ করেছেন।

'জেন্ডার' শব্দটির ব্যবহারের দ্বারা নারী ও পুরুষের মধ্যে যে পৃথক পৃথক সামাজিক ও আত্মিক প্রক্রিয়া গড়ে ওঠে তাকে বোঝানোহয়। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের যে অধিকারবোধ, কর্তব্যবোধ, আচার-আচরণ বা রীতিনীতি ও প্রথা গড়ে ওঠে, তা এমন একটি আদর্শ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল হিসেবে প্রকাশ পায় যেখানে নারীকে ও পুরুষকে আলাদা আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় জেন্ডার-এর ধারণা। সিমন ডি বোভোয়া (Simone De Beauvoir) বলেছেন যে, "One is not born a woman, but becomes a woman"।
 

0/Post a Comment/Comments