একচেটিয়া বাজার কাকে বলে? একচেটিয়া বাজারের শর্তগুলো আলোচনা কর

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একচেটিয়া বাজার কাকে বলে? একচেটিয়া বাজারের শর্তগুলো আলোচনা কর নিয়ে আলোচনা করব।

একচেটিয়া বাজার কাকে বলে? একচেটিয়া বাজারের শর্তগুলো আলোচনা কর। অথবা, একচেটিয়া কারবারের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

একচেটিয়া বাজার কাকে বলে? একচেটিয়া বাজারের শর্তগুলো আলোচনা কর। অথবা, একচেটিয়া কারবারের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?

ভূমিকা

বাজার হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যসামগ্রী ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে ক্রয়-বিক্রয় সাধিত হয়। যে বাজারে কমসংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের অপূর্ণ প্রতিযোগিতা থাকে, তাকে অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।

একচেটিয়া বাজার এই অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারেরই একটি অংশ। অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার দুই প্রকার। একটি হলো একচেটিয়া বাজার এবং অন্যটি একচেটিয়ামূলক প্রতিযোগিতার বাজার।

একচেটিয়া বাজার

যে বাজারে একজন মাত্র বিক্রেতা থাকে, দ্রব্যের কোনো ঘনিষ্ঠ বিকল্প বা পরিবর্তক দ্রব্য থাকে না এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ঐ বাজারে প্রবেশ করতে পারে না, তাকে একচেটিয়া বাজার বলে।

পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একচেটিয়া বাজার সম্পূর্ণ দুটি বিপরীতধর্মী বাজার। একচেটিয়া বাজারে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকে না। এ বাজারে দ্রব্যটি বিভিন্ন দামে বিক্রয় হতে পারে, বিক্রেতা একই দ্রব্য বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করতে পারে। একচেটিয়া বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম থাকে।

কাজেই এসব আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, একচেটিয়া বাজার তাকেই বলে যে বাজারে একজন মাত্র বিক্রেতা থাকে ও দ্রব্যের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এ বাজারে প্রবেশ করতে পারে না।

একচেটিয়া বাজারের বৈশিষ্ট্য বা শর্তসমূহ: একচেটিয়া বাজারে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিলক্ষিত হয়-

১। একজন বিক্রেতা: একচেটিয়া বাজারে একজন মাত্র উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা থাকে। দ্রব্যের সম্পূর্ণ যোগান সে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

২। পরিবর্তক দ্রব্য নেই: একচেটিয়া বাজরে যে দ্রব্য উৎপাদিত বা বিক্রয় হয় তার কোনো পরিবর্তক দ্রব্য নেই। অর্থাৎ বাজারে এমন কোনো দ্রব্য নেই যা দ্বারা সংশ্লিষ্ট দ্রব্যের চাহিদা পূরণ করা যায়।

৩। দামের উপর প্রভাব: দ্রব্যমূল্য নির্ধারণে একচেটিয়া কারবারির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। দ্রব্যের একমাত্র যোগানদার বলে সে যোগানের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করে দাম বাড়াতে বা কমাতে পারে।

৪। প্রবেশাধিকার নেই: একচেটিয়া বাজারে নতুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সম্পূর্ণ বাজারের উপর তার একক প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।

৫। দ্রব্যের চাহিদা: একচেটিয়া বাজারে দ্রব্য সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক নয়। ফলে দামের পরিবর্তনের সাথে চাহিদারও পরিবর্তন ঘটে।

৬। ক্রেতার সংখ্যা: একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা একজন, কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা অনেক। ফলে কোনো ক্রেতা তার ক্রয়ের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করে মূল্যের উপর কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না।

৭। প্রচার খরচ নেই: একচেটিয়া বাজারে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান না থাকায় ক্রেতাদেরকে দ্রব্য ক্রয়ে আকৃষ্ট করার জন্য কোনো বিজ্ঞাপন বা প্রচার খরচের প্রয়োজন হয় না।

৮। চাহিদা রেখার প্রকৃতি: একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যের চাহিদা রেখা বামদিক হতে ডানদিকে নিম্নগামী হয়।

উপসংহার

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, একচেটিয়া বাজারে একজন মাত্র বিক্রেতা থাকে, দ্রব্যের কোনো পরিবর্তক দ্রব্য থাকে না এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও এ বাজারে প্রবেশ করতে পারে না।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। একচেটিয়া বাজার কাকে বলে? একচেটিয়া বাজারের শর্তগুলো আলোচনা কর এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Next Post Previous Post
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url